গ্রেফতার চার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১৫ বছর বয়সী নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় জড়িত ওই ছাত্রীর কথিত প্রেমিক নাসির মোল্যাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে বোয়ালমারী থানার পুলিশ বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে এমামলার আরো তিন আসামি তারক মন্ডল, সৈকত মন্ডল ও নাসিরকে গ্রেফতার করে।বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামিদের ফরিদপুরের সাত নম্বর আমলী আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামিরা ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারুক হোসাইন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, শারীরিক পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার পর ওই কিশোরীকে বুধবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, এ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কথিত প্রেমিক নাসির মোল্যাসহ চারজনকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুরের সাত নম্বর আমলী আদালতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারুক হোসাইনের আদালতে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে তারা জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।তিনি জানান, ধর্ষণের এ মামলায় জড়িত অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালনো হচ্ছে।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বোয়ালমারী উপজেলা সংলগ্ন মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রামের নাসির মোল্যার (২০) সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে প্রেমিক নাসির দেখা করতে এসে কিশোরীটিকে মধুমতি নদীর পাড়ে লংকারচরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক নাসিরসহ তার আরও চার বন্ধু বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের তারক মন্ডল (১৯), সৈকত মন্ডল (১৮), নাসির (৩০) ও দশম শ্রেণির এক ছাত্র (১৬) পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পরেরদিন গত বুধবার নিজে বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে ওই কিশোরী।